সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধি::
বান্দরবানে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনির দায়ে অজ্ঞাত ১২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে গণপিটুনির শিকার রোকেয়া বেগমের পিতা মো: সুলতান বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, গণপিটুনির শিকার রোকেয়া বেগম নিজেদের মায়ানমারের নাগরিক দাবী করে বলেন, ২০১৭ সালে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার জেলার উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত ছিলেন। গত ১৮ জুলাই আমার মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আমি পানি খেতে গেলে আমার মেয়ে নিখোঁজ হয়। পরবর্তী সময়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার মেয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালে আছে। একপর্যায়ে আমার মেয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি ১৯ জুলাই দুপুরে বান্দরবান শহরের বালাঘাটা বাজারের যাত্রী ছাউনির সামনে থেকে আমার মেয়েকে ১২০/১২৫ লোক ছেলে ধরা গুজবে গণপিটুনি দিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে আমার মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনার জন্য তিনি নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২০/১২৫ জনের মামলা দায়ের করেছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার রোকেয়ার পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তবে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই জুলাই বালাঘাটার লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায় ছেলে ধরা সন্দেহে এক রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। এতে গুরুতর আহত হয় ওই মহিলাটি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে জানা যায়, ওই মহিলাটি মানসিক ভারসাম্যহীন। সে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। কে বা কারা তাকে কো-মানষে বান্দরবানে নিয়ে আসলে শহরের বালাঘাটা এলাকায় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়।